বাঘে-গরুতে এক গোয়াল! খাদ্য-খাদ্যকের বিরল বন্ধুত্বের দৃশ্য দেখে অবাক নেটদুনিয়া, ভাইরাল ভিডিও

প্রবাদ বাক্য অনুযায়ী ‘বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়ার’ দৃশ্যটি নেহাতই হাস্যরসাত্মক! কিন্তু বাঘে-গরুতে যদি একই গোয়ালেই বসবাস করে, তাহলে সেটা কি রকম হবে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় এরকমই এক ঘটনার কথা উঠে এল; যেখানে গরুর গোয়ালে বসবাস করছে বাঘ। এমন সত্য ঘটনা দেখে কার্যত চক্ষু চরকগাছ নেটপাড়ার বাসিন্দাদের।
গরু সাধারণত শান্তশিষ্ট গৃহপালিত পশু, গ্রামে গঞ্জে অনেকের বাড়িতে একাধিক গরু পোষ্য হিসাবে রাখা হয়। গ্রাম বাংলার অর্থনৈতিক কাজের জন্য গরু ভূমিকা অনেক, তবে চিতা বাঘ কিন্তু সম্পূর্ণ এর বিপরীতধর্মী! যেরকম হিংস্র, সেরকমই ক্ষুধার্ত। গরুর মতো গৃহপালিত পশুকে কার্যত নিজেদের শিকার বানায় চিতা বাঘেরা। তবে ২০০২ সালের গুজরাটের একটি ঘটনা মনে করিয়ে দেয়, এক ভিন্ন কাহিনী। সেই সময় গুজরাটের কয়েকটি গ্রামে প্রচন্ড পরিমাণে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছিল, গ্রামে ঢুকে গ্রামের অবলা গৃহপালিত পশুদের মেরে খেয়ে নিতো চিতা বাঘগুলো। এরপর গ্রামবাসীরা বনদপ্তরকে খবর দেওয়ায়, তারা বাঘটিকে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে। তারপর থেকে সেই গ্রামে চিতাবাঘের উপদ্রব বেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল।
বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর, আবারও একটি চিতা বাঘ হানা দেয় ওই গ্রামে কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওই চিতাবাঘটি আর কোন গৃহপালিত পশুর ক্ষতি করত না! গ্রামবাসীদের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো দূর, তাকে নিয়ে কোন সমস্যাই হতো না। তার কারণ একটি গোয়ালের এক গাভীর সাথে তার বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বললে ভুল হবে, সে রোজ রাতে ওই গাভীটির সাথে দেখা করতে আসতো এবং গোয়ালে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করতো। এমন কাহিনী চমকিত করেছিল সেই সময়ে গোটা গ্রামবাসীকে।