আপাতত বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে বাংলা। একদম প্রায় কান ঘেঁসে বেরিয়ে গিয়েছে গুলাব। তবে পুরোপুরি এখনই মেলেনি স্বস্তি। পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে আজ ফের তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিবর্তিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আগামী তিনদিন বাংলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বজায় থাকবে।
দক্ষিণের সব জেলাতেই থাকছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ কলকাতায় সকালে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে। রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতেও থাকছে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
কলকাতায় আজ সোমবার রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আজ কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আসে পাশে থাকবে ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কলকাতা এবং কলকাতা সংলগ্ন উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মঙ্গলবার ও বুধবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টির জন্যে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।
আগামী মঙ্গলবার দুই মেদিনীপুর-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি সতর্কতা রয়েছে। যার জেরে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে। বুধবার থাকছে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে অর্থাৎ কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও দুই বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে বুধবার। ওদিকে আবহাওয়া দফতরের সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেরে ফের জলমগ্ন হতে চলেছে শহরের বেশ কিছু এলাকা।