×
নিউজ

৪০ হাজার টাকার মাইনের চাকরি ছেড়ে সুকৌশলে শুরু করেছিলেন মাছ চাষ, বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার ছেলের আয় ১০ লাখ টাকা

Advertisements
Advertisements

জীবনে চলার পথে অনেক রকম প্রতিকূলতা আসে। আর এই প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে উঠতে পারলেই সফলতা নিজে থেকেই আসে। ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ (Swami Vivekananda) বলেছিলেন, ‘ ফলের আশা করো না কাজ করে যাও। দেখবে একটা সময় ফল নিজে থেকেই ধরা দিচ্ছে তোমার কাছে ‘। অনেকেই ‘স্বামী বিবেকানন্দ’- র ( Swami Vivekananda) এই বাণী পালন করে থাকেন। তাদের সাফল্য আসে জীবনে। আবার অনেকেই আছেন যাদের ধৈর্য কম, প্রতিকূলতা দেখলেই হাল ছেড়ে দেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের জীবনে সফলতা চট করে আসে না।

Advertisements

আজ এই রকমই এক সফল ব্যক্তির কথা আমরা বলবো। ‘উত্তরপ্রদেশ’-র (Uttar Pradesh) ‘কৌশাম্বি’ (Koushambi) জেলার এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান ‘প্রখর’ (Prakhar)। পেশায় এককালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন ‘প্রখর’ (Prakhar)। কিন্তু ছোট থেকেই তাঁর মধ্যে ছিল চাষের প্রতি ভালোবাসা। সে কথা একাধিকবার বাবাকে জানিয়েও ছিলেন ‘প্রখর’ (Prakhar)। কিন্তু আর পাঁচটা বাবার মতো ‘প্রখর’-র (Prakhar) বাবাও চেয়েছিলেন ছেলে বড় হয়ে চাকরি করবে। তাই বাবার আদেশ মতোই পড়াশোনা। পড়াশোনাতে বেশ ভালোই ছিলেন প্রখর। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পরে যোগ দিয়েছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। সেখানেও সফল হন ‘প্রখর’ (Prakhar)। তারপরে কাজের সূত্রে নানান জায়গাই ঘুরেছেন। আর তখনই এ রাজ্যে এসে মাছ চাষের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় ‘প্রখর’-র (Prakhar)। উত্তরপ্রদেশ ফিরে গিয়ে যোগাযোগ করেন সে রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের সাথে।

তবে প্রথমে সাফল্য আসেনি ‘প্রখর’-র(Prakhar)। কারণ সেখানে মাছ চাষের ব্যপারে সেই রকম জ্ঞ্যান কারোর মধ্যে ছিল না। পরে অবশ্য পরিচয় ঘটে এক মৎস্য গবেষকের সাথে। তারপরেই হাতে কলমে আসে সাফল্য। দ্বিতীয় বর্ষে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মতো লাভ হয়েছে ‘প্রখর’-র (Prakhar)। বর্তমানে সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি ছেড়ে বেছে নিয়েছে মৎস্য চাষের পেশা।

Advertisements