কিডনি বিক্রি করে ছেলের পড়াশোনা চালাতে চেয়েছিলেন বাবা, পুরোনো বই পড়ে আজ সেই ছেলেই দেশের সফলতম IPS অফিসার

দারিদ্রতা সব সময় ইচ্ছাকে আটকে রাখে! আজকালকার দিনে টাকা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়; জীবনের সঠিকভাবে বড় হতে গেলেও টাকার প্রয়োজন সবার আগে। নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই উন্নতির চরম সেখানে পৌঁছায়, আবার অনেকেই নানান কারণে পিছিয়ে আসে। সেই কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অর্থাভাব! প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা ‘ইন্দ্রজিৎ মাহাথা’র সেই কাহিনী চমকিত করছে সাধারণ মানুষকে।
জীবনে সবথেকে বড় ঈশ্বর হলো বাবা আর মা। একমাত্র বাবা-মা হল, যারা নিঃস্বার্থভাবে সন্তানের মঙ্গল কামনা করে। ইন্দ্রজিৎ মাহাথার সফলতার পিছনে জড়িয়ে আছে তার সেই হতদরিদ্র বাবা। ইন্দ্রজিতের পড়াশোনা চালানোর জন্য তার বাবা নিজের জমির একাংশ বিক্রি করে দিয়েছিল। সন্তানকে বড় করার জন্য নিজের বাবা-মা ঠিক যেমন করেন সেরকমটাই করেছিল ইন্দ্রজিতের হতদরিদ্র বাবা। এমনকি পড়ার জন্য ইন্দ্রজিতের কাছে কোন নতুন বইও ছিল না, ট্রাসে ফেলে দেওয়া পুরনো বই দিয়েই পড়াশোনা জানাতে সে।
তবে তার চলার পথ এতটা মসৃণ ছিল না! প্রথমবারের জন্য ইউপিএসসি (upsc) পরীক্ষায় বসে সফলতা পাননি ইন্দ্রজিৎ ।তার বাবা অবশ্য সবসময় ছিলেন ছেলের সাথে; তিনি ছেলেকে বলেছিলেন, “আজ তিনি জমি বিক্রি করছেন, ভবিষ্যতে পড়াশোনার জন্য কিডনিও বিক্রি করতে পারেন”! বাবার মান রক্ষা করেছে সেই ছেলে; আইপিএস (IPS) অফিসার হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, দারিদ্রতা কাটিয়েও কিভাবে মেধার জয় হয়।