সংসার চালাতে বাবার সাথে ফুচকা বিক্রি করতেন, NEET পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে ডাক্তার হতে চলেছেন অল্পেশ

আমাদের চলার পথে অনেক প্রতিকূলতা আসে, আর সমস্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে ওঠার নামই জীবন। অনেকে আবার জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে সমাজের মূল স্রোত থেকে অনেকটাই দূরে সরে যায়। অন্যদিকে কেউ আবার প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবে সবার প্রতিকূলতা এক রকম নয়, ঠিক যেমন সবার মানসিকতা এক নয়। তবে আমাদের দেশে প্রতিকূলতার প্রথম ধাপই হলো আর্থিক। আমাদের চেনা জানার মধ্যে অনেকেই এমন আছেন সামান্য কিছু টাকার জন্য পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ঠিক একইভাবে আবার অনেকে আছেন যারা আর্থিক প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। বর্তমানে যার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলো ‘গুজরাট’-র (Gujrat) ‘আরাবল্লি’ (Araballi) জেলার বাসিন্দা ‘অল্পেশ কুমার রাঠোর’ (Alpesh Kumar Rathod)।
ছোট থেকেই দারিদ্রতা বারবার গ্রাস করেছে অল্পেশকে। কিন্তু হার মানেনি অল্পেশ। বাবা রাম সিং গ্রামে ছোট ফুচকার দোকান চালায়। সেখানেই বাবাকে সাহায্য করতো অল্পেশ। মাস গেলে হয়তো খুব বেশি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয়। তার মধ্যেই ছেলেকে মানুষ করেছেন বাবা “রাম সিং’ (Ram Singh)।
ফুচকার দোকানে লোকের এঁটো বাসন পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে ভোর ৪টের সময় উঠে ফুচকা তৈরি। সবকিছুতেই বাবাকে সাহায্য করতো সে।
প্রথম থেকেই মেধাবী অল্পেশ। দশম শ্রেণীতে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। বর্তমানে ‘নিট’ ( National Elegibility Entrance Test) পরীক্ষায় পাশ করে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবে অল্পেশ।
গ্রামের ছেলের সাফল্যে খুশি গ্রামবাসীরাও। অল্পেশ জানিয়েছে, তাকে প্রথম থেকেই তাঁর এক শিক্ষক কেরিয়ার গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন। তবে তাঁর ইচ্ছে ছিলো প্রথম থেকেই চিকিৎসক হবার। বর্তমানে স্নায়ু চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই অল্পেশ।