জীবন বিমা করাবেন ভাবছেন ? কিন্তু কীভাবে বেছে নেবেন সঠিক প্ল্যান, জানুন বিস্তারিত

জীবন থাকার পাশাপাশি জীবন বীমাও যেন অপরিহার্য হয়ে গেছে। মানুষের জীবনে অর্থ সঞ্চয় থেকে শুরু করে আর্থিক পরিকল্পনা, এমনকি ভবিষ্যৎ পর্যন্ত ঠিক করতে আর্থিক তালিকায় যোগ হয় জীবন বীমা।
জীবনে চলার পথে বিভিন্ন বিষয়ের কথা মাথায় রেখে জীবন বীমা করানো হয়। কখনো পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তির মৃত্যু হলে পরিবারের কথা মাথায় রেখে, কখনো বা ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখে। আবার কখনো বা ভবিষ্যতে কোন অসুস্থতা হলে তার কথা মাথায় রেখে এবং এইসবের জন্যই টার্ম লাইফ ইন্সুরেন্স ভরসাযোগ্য। তবে জীবন বীমা করার জন্য বেশ কয়েকটি জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে দেখে নিন সেগুলো কি কি।
১) কত দিনের জন্য বীমা করবেন সাধারণত অবসরের সময়কাল পর্যন্ত এই বীমার সময় নির্ধারণ করা হয়। সেক্ষেত্রে বর্তমান বয়সের সাথে অবসরের বয়স দেখে নিয়ে বীমা করা হয়। তবে বয়স বাড়লে বীমার পরিমাণও বাড়তে থাকে; যেমন বিয়ে না হলে যে পরিমাণ টাকা বীমা জন্য টাকা নেওয়া হবে, বিয়ে করলে তার পরিমাণ বেড়ে যাবে।
২)অনলাইন পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে কিনা
বর্তমান সময়ে অনলাইন সব থেকে নির্ভরযোগ্য কারণ এতে কোন এজেন্টের ভূমিকা থাকবেনা। টাকা সরাসরি জীবন বীমার ফান্ডেই জমা হবে নিজের পছন্দমত স্কিমও বেছে নেওয়া যায় খুব সহজে।
৩)চাইল্ড ইন্সুরেন্স প্ল্যান সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এই বীমা খুবই কার্যকরী এতে বিনিয়োগও করা যায়।
৪) অবসর প্ল্যান এটি হল অবসরের পর অনেকটা পেনশন এর মতন, নিজের গচ্ছিত সম্পদ কিছু কিছু করে পাওয়া। তবে এটি করার আগে ওই সংস্থার ক্লেম রেকর্ড ভালো করে দেখে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। যদি রিপোর্ট ভালো থাকে তবেই এই প্ল্যানে এগোনো উচিত।
৫) হোল লাইফ ইন্সুরেন্স সমস্ত ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে একটি বয়স পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু এই লাইফ ইন্সুরেন্স সারা জীবন অর্থাৎ যদি কেউ ১০০ বছর বেঁচে থাকে, তাহলে ১০০ বছর পর্যন্তই বিমান চালানো যাবে। এক্ষেত্রে টাকার একটি অংশ তুলতে পারবে বীমার মালিক।