মাত্র ৫০০০ টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা, প্রতিমাসে চোখ বন্ধ করে আয় হবে লাখটাকা

বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে চাকরির আকাল! যুব সমাজ তাই বেশিরভাগই ঝুঁকছে ব্যবসার দিকে; তবে অনেকের হাতেই অর্থ কম থাকায়, তারা বড়সড় কোন ইনভেস্ট করতে পারে না ব্যবসায়। অনেকেই ‘অর্থ সংকট’-এর জন্য পিছিয়ে পড়ে ব্যবসার থেকে। তবে ‘স্বল্প টাকা’য় এমন এক ব্যবসা আছে, যা শুরু করলে লাখ টাকা আয়ের পথ মিলবে।
এটি হল ‘মাটির ভাঁড়’-এর ব্যবসা, অর্থাৎ মাটির তৈরি বিভিন্ন ভাঁড় বানানোর কাজ। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে ‘প্লাস্টিক’ সব জায়গায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে! সেক্ষেত্রে, এই জাতীয় জিনিসের চাহিদা বাড়ছে প্রচুর। এখন শুধুমাত্র ছোটখাট চায়ের দোকানেই নয়, বড় ধরনের ‘শপিংমল’-এও রকমারি চায়ের কাপ হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে ‘মাটির ভাঁড়’ কে। মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে লস্যির দোকানে সর্বত্রই ‘মাটির ভাঁড়’-এর ছড়াছড়ি। অনেক রেস্টুরেন্টে আবার ‘মাটির তৈরি পাত্র’-তেও খাবার পরিবেশন করা হয়; কাস্টমাররা এটিকেই ‘ইউনিক’ বলে মনে করছে।
সরকারের পক্ষ থেকেও ‘প্লাস্টিক বন্ধের জন্য’, বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে মাটির জিনিসের প্রতি।২০২০ সালে সরকারের পক্ষ থেকে, এই জাতীয় ব্যবসার জন্য ২০ হাজারের মতো ‘ইলেকট্রিক চাক’ বিক্রি করা হয়েছিল। ভারতের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ‘নীতিন গদকরি’-ও এই ব্যবসাকে আরো উন্নত করতে চেয়েছিলেন। সরকারও বেশ চড়া দামে এই জাতীয় মাটির জিনিস বিক্রি করে। সরকারি দাম অনুযায়ী; ১০০পিস চায়ের ভাঁড়ের দাম ৫০ টাকা, ১০০ পিস মাটির গ্লাসের দাম ১০০ টাকা এবং ১০০ পিস দুধ ও লস্যি জাতীয় পাত্রের দাম ১৫০ টাকা। যে কেউ এই বাজারে খুব ‘স্বল্প মূল্যে’ এই ব্যবসা শুরু করে, চরম উন্নতি করতে পারবে খুব সহজেই।