আলু থেকে যেকোনো স্ন্যাক্স তৈরির অন্যতম ব্রান্ড হলো ‘বালাজি ওয়েফার’। ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত গোটা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের জিনিসের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। এটি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে পশ্চিম অঞ্চলের গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, রাজস্থান এমনকি মধ্যপ্রদেশের মতো জায়গাতে। তবে অনেকেই জানে না ‘বালাজি ওয়েফার প্রাইভেট লিমিটেড’-এর পিছনের গল্প।
Advertisements
ষাট বছর বয়সী ‘চাঁদুভাই ভিরানি’ হল বালাজি ওয়েফারের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮২ সালে মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে চাঁদুভাই ভাই এই ব্যবসা শুরু করেছিল। ২০১৭ সালে এসে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার সফল ব্যবসায় পরিণত হয়, তার আলুর তৈরী মুখরোচক বিভিন্ন স্ন্যাক্সের এই ব্র্যান্ডটি। এই বালাজি আছে নামকরণের পিছনেও উড়েছে এক বিশেষ কাহিনী। এই কোম্পানিটি রয়েছে রাজকোট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাজদি গ্রামে। সেখানে অবস্থিত একটি ছোট বালাজি মন্দিরের সামনে ৫০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই ফ্যাক্টরি। ঠাকুর বালাজির নাম অনুসারে তাদের কোম্পানির নাম রাখা হয় বালাজি ওয়েফার।চাঁদুভাই যখন দশম শ্রেণীতে পড়তো, ঠিক সেই সময় অ্যাস্ট্রোন সিনেমা হলে সে একটি চাকরি পায়। সেই সিনেমা হলে ক্যান্টিনে রান্না এবং দেখাশোনার দায়ভার ছিল তার উপর। তার মাইনে ছিল সেই সময় ৯০ টাকা, যার কারণে নিজেদের থাকার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। অতি কষ্টেই তারা তিন ভাই জীবনযাপন করত। সে এবং তার ভাই সিনেমা হলে বিভিন্ন জিনিসের পাশাপাশি আলুর তৈরি স্ন্যাকসও বিক্রি করত কিন্তু সেখানে যারা এই খাবার দিতে আসতো, তারা আসতে অনেকটাই দেরি করত। সেক্ষেত্রে চাঁদুভাই ভাই এবং তার ভাই ঠিক করে নিয়েছিল, এবার থেকে তারা নিজেরাই এটি তৈরি করার কাজে লেগে পড়বে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় গোটা দেশব্যাপী এই আলুর চিপস্, নিমকি ও স্ন্যাক্স তৈরীর ব্যবসা।
বর্তমানে তার বিশাল বড় ফ্যাক্টরিতে রয়েছে ২ হাজারটিরও বেশি গাছ, গরু এবং একটি বায়ো গ্যাসের ব্যবস্থা। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার কিলো আলুর তৈরি জিনিস এখানে বানানো হয়। তাছাড়া এখানে ৩০ রকমের নোনতা তৈরি করা হয় প্রতিদিন।