অভাবের তাড়নায় করতে হয়েছিল বিয়ে, বর্তমানে IAS অফিসার ফতেমার কাহিনী শুনে হতবাক নেটদুনিয়া

ইচ্ছাশক্তি মানুষকে বহুদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে! সকলের জীবনেই ভালো-খারাপ অনেক মুহূর্ত আছে কিন্তু অদম্য লড়াইয়ের মধ্যেও অনেকেই সেই জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে ওঠে। আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত মেয়েদেরকে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার একপ্রকার জোর জুলুম হয়ে আসছে। অনেকেই ব্যতিক্রমী হয়ে নিজেকে অনেক উঁচুতে প্রতিষ্ঠিত করেও দেখায়। এক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ করে ইচ্ছা শক্তি! ঠিক সেরকমই এক হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে সিরাত ফতেমার কাহিনী শুনে, চমকে উঠেছে নেটবাসীরা।
এক সামান্য অ্যাকাউন্টেন্টের মেয়ে ফতেমা ছোটবেলা থেকেই অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছে। অত্যন্ত মেধাবী থাকার কারণেই পড়াশোনা থেকে কখনোই পিছিয়ে আসেনি; তবে অভাবের জন্য একসময় তাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিলো।
এরপরে আবারো পড়াশোনা শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসে, অত্যন্ত ভালো ফল নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল সে। এরপরে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পরে, পরিবারের হাল ধরার জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছিল ফতেমা। এরমধ্যেই পারিবারিক চাপ আসে; অভাব-অনটনের জেরে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিতে বাধ্য হয় ফতেমার অ্যাকাউন্টেন্ট বাবা।
তবে ফতেমা কিন্তু হার স্বীকার করেনি! বিয়ের পরেও নিজেকে সঠিক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে সে। এরপর ২০১৭ সালে প্রথমবার ইউপিএসসি (upsc) পরীক্ষাতে বসেই, ৮১০ নম্বর স্থান অর্জন করেছিল সে। বর্তমানে সে মহারাষ্ট্রের একজন কৃষি অফিসার হিসেবে কাজ করছেন।