ক্রমেই ভারতের পূর্ব উপকূল বরাবর ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের নামকরণেই নামাঙ্কিত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আজ গুলাব অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং উড়িষ্যার গোপালপুরের ওপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হবে। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গের উপর। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় রেহাই পাবেনা পশ্চিমবঙ্গ। আকাশের মুখ ভার থাকবে হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরের হয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আজ কলকাতায় আংশিক মেঘলা থাকতে দেখা যাবে আকাশ। হাওয়া সূত্রে খবর, বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে শহরের আনাচে কানাচে। আগামী একদিনে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে দেখা যাবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে দেখা যাবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
ওদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী একদিনের উড়িষ্যা উপকূল এবং অন্ধপ্রদেশে রয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আগামী মঙ্গলবারে তৈরি হতে চলেছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত দিয়ে তৈরি হতে পারেন বঙ্গোপসাগরের উপরে। যার জেরে বৃষ্টি চলতে পারে আগামী দুইদিন। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে মঙ্গলবার এবং বুধবারে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হবে ভারী বৃষ্টিপাত।
মঙ্গলবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলায়। সেইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। কলকাতায় এই হাওয়ার দাপট লক্ষ্য করা যাবে প্রতি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার।