৩১ বছর বয়সি বাঙালি ছেলে সুপ্রিয় চক্রবর্তীর সঙ্গে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় পাঞ্জাবি পরিবারের ছেলে ৩৪ বছর বয়সী অভয় ড্যাংকের। পরিচয়ের একমাস পরে নিজের মায়ের সঙ্গে অভয়ের দেখা করায় সুপ্রিয়। অবশেষে দীর্ঘ ৮ বছর সম্পর্কের পর তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
এই সম্পর্ক সুপ্রিয়র মায়ের প্রথমে মেনে নিতে একটু অসুবিধে হলেও পরে ছেলের মানসিক শান্তি ও সুখের কথা ভেবে তিনি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বোঝেন। গত শনিবার হায়দ্রাবাদে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সুপ্রিয় ও অভয়। প্রথমে তাঁরা আংটি বদল করেন, তারপরে বাঙালি ও পাঞ্জাবি উভয় রীতি মেনেই তাঁদের বিয়ে হয়।
View this post on Instagram
সোশ্যাল মিডিয়ায় অভয় ও সুপ্রিয় নিজেদের বিয়ের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন। কোনো ছবিতে তাঁদেরকে টোপর পরে দেখা যাচ্ছে, আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে সুপ্রিয়র মা নাড়ু বানাচ্ছেন। অভয়কে স্বামী হিসেবে চিহ্নিত করে সুপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান,”আট বছরের সম্পর্কে পূর্ণতা দেওয়া, অভয়কে স্বামী বলতে পারা— সবটাই আনন্দের।”
View this post on Instagram
অভয় এক বহুজাতিক সংস্থায় উচ্চপদে নিযুক্ত রয়েছেন, অপরদিকে সুপ্রিয় এক হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হায়দ্রাবাদবাসী রূপান্তরকামী সোফিয়া ডেভিড। বস্তুত, ২০১৮ সালে ভারতবর্ষে সমকামী সম্পর্ক ও মেলামেশা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও নিরপরাধ ঘোষণা করা হলেও তাদের বৈবাহিক বন্ধন এখনও আইনি স্বীকৃতি পায়নি। সুতরাং, সরকারিভাবে সুপ্রিয় ও অভয়ের বিয়ে নথিভুক্ত না হলেও পারিবারিক ও সামাজিক স্বীকৃতি তাঁরা লাভ করেছেন। সুপ্রিয় বলেছেন,”এ সব ক্ষেত্রে সমাজের ভয়-ই বড় বাধা হয়ে ওঠে। কিন্তু, পরিবার যদি মেনে নেয় তবে কোনও কিছুকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।”