×
নিউজ

ওহ লাভলি! এবার ভাইরাল নন্দিনীর হোটেলে হাজির কালারফুল বয় মদন মিত্র, দিলেন লম্বা অর্ডার

Advertisements
Advertisements

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটাই নাম ট্রেন্ডিং-এ আর সেটি হল ‘নন্দিনী দি’। ডালহৌসিতে থাকা পথ চলতি পাইলস হোটেলের মাধ্যমে, জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এই যুবতী নন্দিনী। যেখানে পাত পেরে লোক খাওয়ান তিনি। ভোরবেলা থেকে শুরু হয় তার রান্নার তোড়জোড়। এক মধ্যবয়সী মেয়ে হয়েও, তার এরূপ প্রয়াস ইতিমধ্যেই অবাক করে তুলেছে রাজ্যবাসীকে। এবার তার ওই রাস্তার ধারের পাইস হোটেলে গিয়ে উপস্থিত হলেন বিধায়ক ‘মদন মিত্র’ (Madan Mitra)। এমনকি তার রান্না খেয়ে ‘ও লাভলি’ পর্যন্ত বললেন।

Advertisements
নন্দিনীর বাবা-মা এই পাইস হোটেলটি খুলেছিল। গত দু’বছর ধরে মা-বাবার সাথে হাত লাগিয়েছে নন্দিনীও। সকাল থেকে বিকাল চলে রণযুদ্ধ! তবে শুরুর সময়ের দিনগুলো এতটাও সুখময় ছিল না। একসময় ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন নন্দিনী, ঠিক তখনই তাদের পরিবারে নেমে আসে দুর্যোগ। বাবার রবারের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাওয়ায়; বাড়ি, গয়না, সেভিংস সবকিছুই চলে যায়। অনেক ধাক্কা সহ্য করে শেষে পরিবার আবারো পুরনো ছন্দেই ফিরে আসে।

মা-বাবা দুজনেই অসুস্থ; এই অবস্থায় পাইস পাইস হোটেল খোলে নন্দিনী। সেই সময়ে দিনে হয়তো বিক্রি হতো ৩০-৪০ প্লেট খাবার আর তাই দিয়ে বলতো তাদের সংসার। তবে হঠাৎ করেই ইউটিউবের মাধ্যমে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। এখন সেই নন্দিনী হয়ে উঠেছে ভাইরাল! সুন্দরী, স্মার্ট, জিন্স ও ব্লুটুথ হেডফোন নেওয়া এই যুবতী স্বাভাবিকভাবেই নজর কাড়ছে সকলের।

এখন তার দোকানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ প্লেট খাবার বিক্রি হয়। আর এবার তার হোটেলে এলেন কামারহাটির বিধায়ক ‘মদন মিত্র’।
তার হোটেলের পালং শাকের তরকারি চেখে দেখলেন তিনিঌ জানালেন, “মনে হচ্ছে বাড়ির খাবার খাচ্ছি”। এমনকি তিনি বলেন যে, “বিধানসভা থেকে ফিরছিলাম। আগামীকাল আমার এলাকায় একটি স্পোর্টস ডে আছে, তাই ওখানে বাচ্চাদের দুপুরের খাবার দায়িত্ব
আমি তোমাকেই দিচ্ছি ।” এরপর 300 প্লেটের অর্ডার দেয় সে। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি সুযোগ পেয়ে আবেগ ঘন হয়ে পড়ে নন্দিনী।

Advertisements