B tech চাওয়ালা, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও মেলেনি চাকরি অগত্যা রুজির খোঁজে চায়ের দোকান দুই বন্ধুর

পৃথিবীর বয়স যতই বাড়ছে ততই কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। বিশেষ করে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের মানুষের কাছে। যেখানে সব থেকে বড় সমস্যা হলো দারিদ্রতা আর বেকারত্ব।
সমীক্ষা বলছে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আর বর্তমানে বেকারত্বের সাথে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি। যা সমাজে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে আস্তে আস্তে। তবে অনেকেই আছেন যারা বেকারত্বকে হাতিয়ার করেই বেচেঁ রয়েছেন সমাজে।
ঠিক যেমন মালদহের দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া আলমগীর খান আর রাহুল আলী। দুজনেই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা আবু গনিখান চৌধুরীর নামে নামাঙ্কিত, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেছেন। চাকরি পেয়েছিলেন গুজরাটে মাত্র ১৫ হাজার টাকার মাসিক চুক্তিতে। তাতে রাজি হননি কেউই। তাই বছরের শুরুতেই কিছু নতুন করার চেষ্টা। ১লা জানুয়ারি মালদহের স্টেশনের সামনেই ছোট্ট এক দোকান ভাড়া করে শুরু করেছেন ব্যবসা। নাম দোকানের নাম দিয়েছেন বিটেক চাওয়ালা!
যদিও এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগে হাবড়ার এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি আর বর্ধমানের এমএ চাওয়ালা দেখেছে গোটা বাংলা; তবে এই চিত্র আজ সত্যিই ভাবাচ্ছে দেশের ওয়াকিবহাল মহলকে। তাঁদের মতে এই ভাবে দেশের শিক্ষিত যুবকরা চায়ের দোকান কিংবা এত টাকা খরচ করে পড়াশোনা চালিয়ে, যদি ভালো কোনো চাকরি না পান তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়তো শিক্ষা বিমূখ হয়ে উঠতে পারে।