পেটের দায়ে চালাতেন অটো, বর্তমানে পাইলট হয়ে বিমান চালায় দরিদ্র পরিবারের ছেলে

দারিদ্রতা এমন এক জিনিস, যা মেধাকেও দমিয়ে রাখতে সক্ষম। দারিদ্রতার কঠিন বাধা পেরিয়ে যখন কেউ জয়ের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছায়, তখন তার সাফল্য কে বাহবা দেওয়ার ভাষা থাকে না।
ঠিক সেরকমই মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা ‘শ্রীকান্ত পান্তয়ান’ (shrikanta pantwan)। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন শ্রীকান্ত, দারিদ্রতার অভাবে গায়ে খাকি পোশাক চাপিয়ে হলুদ অটো নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হতো। অটো না চালালে সংসার চালানোর পয়সাটুকু আসতো না! স্থলজ যানবাহনের সাথে তার সম্পর্ক থাকলেও ইচ্ছা ছিল আকাশ পথে পাড়ি দেওয়ার কিন্তু সেখানেও বাঁধা সেই দারিদ্রতা।
শ্রীকান্তর বাবা ছিলেন পেশায় প্রহরী, একদিকে সংসার অন্যদিকে ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো তাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি শ্রীকান্ত ডেলিভারির কাজ করতেন, যাতে পড়াশোনার খরচটুকু উঠে যায়। এরপর অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে; তখন শ্রীকান্ত পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র কাজেই মন দেয়। তবুও তার ইচ্ছা ছিল আকাশ ছোঁয়া! বিমানবন্দরে ডেলিভারি দেওয়ার কাজ করতে করতে তার নজর খালি যেতো এরোপ্লেন এবং রানওয়ের দিকে।
Make sure you catch the inspirational story of Shrikant Pantawane,auto driver turned pilot, in this month’s Hello 6E! pic.twitter.com/09nirwwa0D
— IndiGo (@IndiGo6E) June 15, 2015
শ্রীকান্তর স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্য সাহায্য করেছিল এক ‘চা ওয়ালা’। তিনি তাকে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন পাইলট’ (civil Eviation scholarship private pilot’s license) স্কলারশিপের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। এর দ্বারা পড়াশোনা করার পাশাপাশি ছোটখাটো কাজ করে, অর্থ উপার্জন করা যেত। এর মাধ্যমেই ট্রেনিং ও কাজ উভয় করেই, পরে ফ্লাইং পরীক্ষায় পাশ করে শ্রীকান্ত অটোচালক থেকে পাইলট হয়ে ওঠে। শ্রীকান্তর আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন, সত্যিই তাকে আকাশ পথে পাড়ি দেওয়া করালো।