জি বাংলার একটি জনপ্রিয় গেম শো হলো ‘দিদি নং ওয়ান’। এই গেম শো-তে বাংলার মা বোনেরা আসেন খেলায় অংশগ্রহণ করতে। প্রশ্নোত্তরের পালা যেমন চলে তেমনি চলে প্রত্যেক প্রতিযোগীর জীবনের গল্প বলা। অনেকেই তাদের জীবন যুদ্ধের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়া চলে পুরস্কার দেওয়ার পালা। এবার সুন্দরবন থেকে এক দম্পতি এলেন। সকলের সঙ্গে শেয়ার করলেন তাদের জীবনযুদ্ধের কাহিনি।
সুন্দরবনে অনেকেই ঘুরতে যান। সেখানকার প্রকৃতির স্বাদ নিতে অনেকেই যান। সুন্দরবনে নানান জীবজন্তুর বসবাস। তাদের মধ্যে একটি হল বাঘ। এবারের ‘দিদি নং ওয়ান’-এ হাজির সুন্দরবনে বসবাসরত দম্পতি শুনিয়েছিলেন তাদের প্রতি দিনের লড়াইয়ের কথা। ওই মহিলার নাম জ্যোৎস্না শীর। তিনি জানান, কয়েকবছর আগে তার জামাইকে বাঘে নিয়ে যায়। এরপর মেয়ে ও ৬ মাসের নাতনিকে তাড়িয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ি থেকে। মেয়ে তার ৬ মাসের সন্তানকে নিয়ে ফের বাবা মায়ের কাছে ফিরে আসে।
এদিকে সংসার চালানোর জন্য পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জ্যোৎস্না ও তার স্বামী বের হন মাছ কাঁকড়া ধরতে। একদিন এরকমই তারা বের হন বাড়ি থেকে। মাছ কাঁকড়া ধরার সময় জ্যোৎস্না দেবীর স্বামীকে আক্রমণ করে বাঘ। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে জ্যোৎস্না দেবী বাঘের গায়ে ঝাপিয়ে পড়েন। বাঘের কানে আঙুল ঢুকিয়ে টেনে ধরেন। যদিও বাঘটির হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পায় জ্যোৎস্না দেবীর স্বামী কিন্তু তার কাঁধ থেকে হাত অকেজো হয়ে যায়।
দিদি নং ওয়ান’ শো-তে জ্যোৎস্না দেবী তার স্বামীর হাতের ক্ষত দেখিয়েছেন। এই ঘটনা সকলকে যেমন অবাক করেছে তেমনি জ্যোৎস্না দেবীর সাহসকে সকলে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এদিকে এই কাহিনি শোনার পর অনেকেই বলছেন ‘দিদি নং ওয়ান’-এ টিআরপি বাড়ানোর জন্য এমন গল্প ফাঁদা হয়েছে। তাই জি বাংলা নিজেদের অফিশিয়াল পেজ থেকে গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।