সর্বশেষ সিনেমাও ছিল সুপারহিট, তবু কেন হারিয়ে গেলেন অভিনেত্রী মিঠু মুখার্জী!

সত্তর দশকের শুরুর কথা, তখনও বাংলা চলচ্চিত্র জগত কাঁপিয়ে যাচ্ছেন উত্তম-সুচিত্রা। । অন্যদিকে ‘সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়’ (Sabitri Chattyapadhyay), ‘সন্ধ্যা রায়’ (Sandhya Ray), ‘মুনমুন সেন’ (Munmun Sen), ‘সুপ্রিয়া দেবী’ (Supriya Devi) তো আছেন। পাশপাশি ‘উত্তম কুমার’ (Uttam Kumar) আর ‘সৌমিএ চট্টোপাধ্যায়’র (Soumitra Chattyapadhyay) অসামান্য অভিনয় দক্ষতায় তখন গোটা বাঙালি দু’ভাগে বিভক্ত।
View this post on Instagram
ঠিক এমন একটা সময়েই বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভাব ঘটেছিল ‘মিঠু মুখার্জী’র (Mithu Mukherjee)। ১৯৬৭ সালে শ্যামবাজারে এক নাটক মঞ্চস্থ করতে এসেছিলেন তিনি, যদিও তখনও টলি পাড়াতে তাঁর পরিচয় ঘটেনি। এরপরে ১৯৭১ সালে ‘চিত্ত বসু’র (Chitta Basu) পরিচালনায় ‘শেষ পর্ব’ (Sesh Parba) ছবিতে প্রথম বড় পর্দায় অভিনয়। কিন্তু তিনি অভিনয় করতে জানতেন, তাই হয়তো আপামর বাঙালি তাঁকে তখনই আপন করে নিয়েছিল। শুধু অভিনয় নয়, সেই দশকে দাঁড়িয়ে নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই বারবার সাধারণ মানুষের তাক লাগিয়েছেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
ওই সময় নায়িকাদের খুব একটা খোলামেলা পোশাকে দেখা যেত না, কিন্তু ‘মরজিনা আবদুল্লা’ ছবিতে খোলামেলা পোশাকে তাঁর সাহসিকতার পরিচয় বাঙালি পেয়েছে। তবে সাফল্যের জন্য সংগ্রাম তাঁকে কোনদিনই করতে হয়নি। সেই জন্যই হয়তো মনের মধ্যে কোথাও আত্মগরিমা বাসা বেঁধেছিল।
View this post on Instagram
ঠিক সেই কারণেই বাংলার খ্যাতি ছেড়ে তিনি যেতে চেয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে। পরিচালক ‘দুলাল গুপ্ত’ (Dulal Gupta) পরিচালিত ‘খান দোস্ত’ সিনেমার মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু প্রথম ছবিতেই তিনি দ্বিতীয় নারী হয়ে থেকে গিয়েছিলেন আর কোনদিনই প্রথম নারী হয়ে ফিরে আসা হয়নি অভিনেত্রীর। তারপরে বাংলায় ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু টলি পাড়া তাঁকে আর আপন করে নেয়নি।