শীঘ্রই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন দেশের মাটির নোয়া ! হাতের মেহেন্দিতে স্বর্ণেন্দু নাম দিল ইঙ্গিত
পরিস্থিতি সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das) এবং পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar)। তবে করোনা পরিস্থিতি সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে তাঁদের জীবনে। তবে কি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে তর সইছেনা দেশের মাটির অভিনেত্রী! এবার বর বেশেই হাজির হবেন ধারাবাহিকের পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার!!
বরাবরই অভিনেত্রী শ্রুতি দাস সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। সম্প্রতি অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে তুলে ধরেছেন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি। যেখানে বাম হাতে রয়েছে অভিনেত্রীর মেহেন্দি। তবে মেহেন্দি এঁকেছেন বললে ভুল হবে বলা যেতে পারে তিনি লিখেছেন। অভিনেত্রী হাতের মেহেন্দিতে প্রাধান্য পায়নি নকশা। অভিনেত্রীর মেহেন্দিতে প্রাধান্য পেয়েছে বাংলা হরফে লেখা রবীন্দ্র সংগীত। অভিনেত্রীর হাতে ধরা পড়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের লাইন, ‘আমি তোমার প্রেমে হব সবার কলঙ্কভাগী।’ ছবি দিয়ে শ্রুতি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘স্বর্ণেন্দু, নিজের নাম খুঁজে নিও।’
তবে এবার অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে খুব তাড়াতাড়ি কি গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি! পরিচালক সমাদ্দারকে যে তিনি আগেই বর বলে সম্বোধন করেন তা আর জানতে বাকি নেই কারোরই। তাঁদের দুজনের বিয়ের পরিকল্পনা চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। করোনার জন্য দফায় দফায় বাধা পড়েছে সবকিছুতেই। তবে সামাজিক নিয়ম রীতিতে বিয়ে না করলেও তবে কি আইনি খাতায় বিয়ে করতে চলেছেন দুজনে!
এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী শ্রুতি দাস জানিয়েছেন, ‘‘বিয়ে হওয়ার কথা ছিল এ বছর। সে কথা ঠিক। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পরে এখনই বিয়ে করছি না। এক’দু বছর পরে বিয়ে করতে পারি।’’ তবে এই মেহেন্দি আর তাতে হবু বরের নামই বা কেন! এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সুচন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে এক মেহেন্দি শিল্পীর আঁকায় মুগ্ধ আমি। নকশা নয়, তিনি জোর দেন লেখায়। তা দেখেই শখ জেগেছিল। সুচন্দাদির থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের হাতেও তেমন এঁকেছি। স্বর্ণেন্দুর নাম দিয়ে আরও সুন্দর করে সাজিয়েছি। অদূর ভবিষ্যতে কোনও অনুষ্ঠান নেই কিন্তু। এমনিই শখ মেটালাম।’’
View this post on Instagram
তবে কি পরিচালক খুঁজে পেয়েছেন তাঁর প্রেমিকার হাতে নিজের নাম! এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের বক্তব্য, ছবি পাঠানোর মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই পরিচালকের চোখ আটকে গেছে তাঁর নিজের নামের উপরেই। সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গাটির গোল করে পাঠিয়েছেন অভিনেত্রীকে। যা হাসি ফুটিয়েছে তার প্রেমিকার মুখে।