বস্ত্রহরণের দৃশ্যে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী! কান্নার কারন জানলে হতবাক হবেন

বাংলা চলচ্চিত্রের এক অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘রূপা গাঙ্গুলী’ (Rupa Ganguly)। টলিউড ছাড়াও মমুম্বায়েও বেশ কিছুটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন অভিনেত্রী। তবে বেশিরভাগজনই তাকে দ্রৌপদীর চরিত্রের জন্যই বেশি ভালো করে চেনে! ১৯৮৮ সালে বিবাহ আর চোপড়ার হিন্দি ধারাবাহিক ‘মহাভারত’-এ, ‘দ্রৌপদী’র চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছিল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। যার ফলে টলিউড, বলিউড সর্বত্রই তার পরিচিতি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
যেকোনো চরিত্রে অভিনয়ের সময় বরাবরই সেটিকে ফুটিয়ে তুলতে, চরিত্রে প্রবেশ করতেন রুপা গঙ্গোপাধ্যায়। দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করার সময় বস্ত্রহরণের চরিত্রটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছিল দর্শকদের! ক্যামেরার সামনে বস্ত্রহরণের দৃশ্যটি শুটিং করার পরেই, নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি তিনি। জানা যায় শুটিং ফ্লোরেই হাউ হাউ করে কেঁদে উঠেছিল অভিনেত্রী! এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, “দ্রৌপদীর চরিত্র তাকে আঁষ্ঠেপৃষ্ঠে ঘিরে ধরেছিল, তাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিয়েছিল সেই চরিত্রটি!” তার জন্যই শেষপর্যন্ত ওই কষ্টে নিজেকে আর সামলাতে পারেনি অভিনেত্রী; প্রায় আধঘন্টা অঝোরে কেঁদেছিলেন তিনি। এমনকি তাকে কেউই সামলাতে পারেনি।
জানা গিয়েছিল তখন রুপাকে শান্ত করার জন্য পরিচালকও এগিয়ে এসেছিলেন! এছাড়া আরো অন্যান্য অভিনেত্রীরাও চেষ্টা করেছিল তাকে থামানোর। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্যটি শুট করার জন্য প্রায় ২৫০ মিটার লম্বা একটি শাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিনেত্রী ওই শাড়িটি পরেনি, স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখার জন্য একটি স্বাভাবিক শাড়ি তিনি পরেছিলেন।
তবে যে চরিত্রের জন্য তার এত নাম ডাক, প্রথমেই সেই চরিত্রে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। দ্রৌপদীর চরিত্রের জন্য প্রথমবার পছন্দ করা হয়েছিল ‘জুহি চাওলা’কে। তবে জুহি চাওলা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায়, তখন সেই কাজ রুপা গঙ্গোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়।