যশ এখন অতীত, বিক্রমের সাথে জুটি বাঁধতে চলেছেন মধুমিতা! বিয়ের পরেও বদলাবেন না নিজের পদবি
পরিচালক সুদীপ দাস এর হাত ধরে প্রথমবারের জন্য পর্দায় আসতে চলেছেন বিক্রম এবং মধুমিতা। শেক্সপিয়ারের ‘হোয়াটস ইন এ সারনেম’ এর অনুকরণে পরিচালক সুদীপ দাস বানাতে চলেছেন ‘কুলের আচার’ । আর এখানে মূল চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে বিক্রম এবং মধুমিতা কে। শুধুমাত্র পদবী কে কেন্দ্র করে একটি গোটা ছবির বিষয়বস্তু হতে চলেছে । বিক্রমের মা বাবার চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন ইন্দ্রানী হালদার এবং নীল মুখোপাধ্যায়। মূলত এটি একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প । বিক্রম এবং মধুমিতার চরিত্রের নাম হল যথাক্রমে প্রীতম এবং মিঠি । ছবিতে তাদের প্রেমকে কেন্দ্র করেই গল্পের মোড় ঘোরে।
২০২১ সালে দাঁড়িয়েও আমাদের সামাজিক পরিস্থিতি কতটা জটিল সেই কাহিনী তুলে ধরবে ‘কুলের আচার ‘।মূলত গল্পে দেখা যাবে বিয়ের পর তাঁর পদবী বদল করতে চান না নায়িকা। মিসেস সেন নাকি মিসেস রায় মিঠির আসল পরিচয় কোনটা। সমাজের এই ছোট্ট বিষয় এর জটিল আবর্তন কে গল্পের সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । ছবিতে একটি সংবেদনশীল বিষয় কে তুলে ধরলেও সেটিকে দেওয়া হবে কমেডির মোড়ক। কাহিনী শুরুতেই দেখা যাবে ছবির নায়ক-নায়িকা হানিমুনে গিয়ে পদবী বদল কে কেন্দ্র করে সমস্যায় পড়বে । বর্তমান আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় দাঁড়িয়ে স্বামী এবং স্ত্রীর পদবী কি করে আলাদা আলাদা হতে পারে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে যায় শেষকালে হানিমুনে মিঠি এবং প্রীতম গিয়ে তা মাঝপথে বাড়ি ফিরে আসতে হয়।
View this post on Instagram
ছবিতে দেখা যায় প্রীতম অত্যন্ত সাপোর্টিভ হাসবেন্ড হলেও বাড়ির বউ এর পদবী বদল এক দাবী মানতে চান না শ্বশুর শাশুড়ি । ফলে ‘কুলের আচারে’র তাদের দাম্পত্য মধুর হলেও একটি জটিল টার্ন আসে । ছবির পরিচালক সুদীপ দাস বলেন, “গল্পের নায়িকা বিয়ের পর তার পদবী কোন বদল করতে চান না। আর তার জন্যই সমাজ তাকে হাজারো প্রশ্ন করে। আমাদের সমাজে প্রত্যেকটি মানুষের পদবী আমাদের অতীত ,আমাদের ঐতিহ্য ,আমাদের বাবা-মায়ের সম্পর্ক ।তাহলে আমাদের সমাজে শুধুমাত্র মেয়েরাই কেন পদবী বদল করবে! ” সমাজের এই নিয়মটি কি সম্পূর্ণ ভুল !! ‘কুলের আচার’ ছবিটির গল্প সমাজের এই ছোট্ট বিষয়টি ঠিক না ভুল এই সমস্ত টক-ঝাল-মিষ্টি প্রশ্ন নিয়ে এগোবে। আপাতত এই ছবিটি নিয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী পরিচালক সুদীপ দাস।