“টাকার জন্য মাচা শো করি”, অকপট অভিনেত্রী শ্বেতা

বাংলা ধারাবাহিকের এক অন্যতম জনপ্রিয় মুখ ‘শ্বেতা ভট্টাচার্য’ (sweta Bhatyacharya)। তার অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই টলিউডে বেশ জনপ্রিয় জায়গায় চলে গেছেন তিনি। ব্লকবাস্টার ‘প্রজাপতি’ ছবির মাধ্যমে পদার্পণ করেছেন বড়ো পর্দায়। এর পাশাপাশি জি বাংলায় ‘সোহাগ জল’ সিরিয়ালে তাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইভেন্টে এসে হাজির হন তিনি। প্রায় ১০ বছর ধরে অভিনয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন। সকলকে তিনি জানান ‘তার ভালো থাকার ওষুধ হলো কাজ’!
অনেক কঠিন দিন কাটাতে হয়েছে শ্বেতাকে। অনেক ছোটবেলায় তার দাদাকে হারিয়েছেন তিনি। এক এক সময় নুনভাত খেয়ে কেটে যেত তার ছোটবেলার দিনগুলো। তার মা সব সময় শিখিয়েছেন বাড়ির অভাবের কথা বাইরে না বলতে! নুন ভাত খেয়েও তার মা সকলকে বলতে বলতো, মাছ ভাত বা মাংস ভাত খেয়েছে সে। একবেলা খেলে বেশিরভাগ দিনে পরের বেলা কি খেলে খাবে, তাই নিয়ে ভাব।
যদিও তার সেই কষ্টের দিন চলে গেছে। এখন মা-বাবাকে সুখে রাখতে চান শ্বেতা। যদিও অত্যন্ত সভ্য এবং নম্র মেয়ে সে। এমন কোনো কাজ তিনি কখনোই করেন না, যা তাকে ভবিষ্যতে অনুশোচনা দিতে পারে। শুটিং- সবসময় ভদ্র-সভ্য পোশাক পড়ে, স্লিভলেস পোশাক পর্যন্ত পরতে দেখা যায় না শ্বেতাকে। কোন ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত বা চুম্বনের দৃশ্যেও কাজ করেননি তিনি। ইতিমধ্যে টলিউডে তার সাথে রুবেলের সম্পর্ক সব ব্যাপারে সকলেই অবগত। যদিও তাদের এই সম্পর্ক কবে পরিণতি পাবে, সে কথা কেউ জানে না।
View this post on Instagram
কাজ করতে ভালবাসলেও প্রতি সপ্তাহে রবিবারটা আলাদা করে ছুটি নেন তিনি। বছরের প্রথম দিনও কাজ করেন না। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন মাচা শো করতে যান। যদিও এসব করতে তিনি পছন্দ খুব একটা করেন না, তবে মূলত অর্থের জন্যই সে সব জায়গায় যায়। তার বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ। ইতিমধ্যেই মায়ের দুইবার স্ট্রোক হয়েছে, এবার স্ট্রোক হলে তার মাকে বাঁচানো যাবে না। তাই মা-বাবার খরচ বহনের জন্যই এই জাতীয় জায়গায় তাকে যেতে হয়।