এ যেন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন অপরাজিতা অপু!

জি বাংলায় যে কয়েকটি সিরিয়াল টিআরপি তালিকার একেবারে প্রথম দিকে থাকে তার মধ্যে অন্যতম অপরাজিতা অপু। সরকারি চাকরি পাওয়ার লক্ষ্যে পড়াশোনা করলেও পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অপু। শ্বশুরবাড়িতে নানান বিধি নিষেধের বেড়াজাল টপকে এখন সে ডাবলিউবিসিএস অফিসার। এবার নিজের বাড়িতে ভাসুর তথা জামাইবাবুর অপরাধ প্রমাণ করতে তথ্য সংগ্রহ করেছে অপু। কিন্তু বাধ সেধেছে তার দিদি। টানটান উত্তেজনা তিন দিন।
মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে অপরাজিতা চোখে তার স্বপ্ন সরকারি চাকরি করার। তার স্বপ্ন পূরণে প্রথমদিকে স্বামী দিপু অ্যাসিস্ট্যান্টকে পাশে না পেলেও পরবর্তীতে স্বামীর সাহচর্যে লেখাপড়া শুরু করে অপু। কিন্তু শাশুড়ি অবলা দেবী মোটেও পছন্দ করতেন না ছোট বৌমাকে। একদিন ত্রাতার ভূমিকায় শ্বশুরবাড়ির সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করে অপু। হয়ে ওঠে তার শাশুড়ির আদরের সোনামা। শাশুড়ির ইচ্ছায় এবং আগ্রহে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসেই চমকপ্রদ ফল করে অপু। এখন সে বিডিও।
এদিকে তথাকথিত আনস্মার্ট শহুরে কালচারে অনভ্যস্ত অপুর দিদি সুপুকে মোটেও পছন্দ করেন না তার স্বামী দ্বৈপায়ন। তাই শহুরে শিক্ষিতা মুনমুনের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। তাকে হাতেনাতে প্রমাণ সহ ধরে ফেলে অপু গোয়েন্দা। যদিও এই ঘটনার পর স্ত্রীর কাছে ভালো হওয়ার জন্য নানান রকম দামী দামী উপহার নিয়ে আসে দ্বৈপায়ন। জামাইবাবু আসলে অপরাধী। সবার সামনেই তার মুখোশ খুলে দিতে এবার উঠে-পড়ে লেগেছে অপরাজিতা। কুচক্রীদের সঙ্গে জামাইবাবুর যোগাযোগের বিভিন্ন ছবি এবং তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে সে। কিন্তু দিদি সুপর্ণা তাকে অনুরোধ করে সেগুলি পুড়িয়ে দিতে কারন সে সন্তানসম্ভবা। এই কথা শুনে আকাশ ভেঙে পড়ে অপুর মাথায়। কোন দিকে যাবে উপ নিজের দায়িত্ব কর্তব্য নাকি পরিবারের আবেগ?
তিনদিনের মহাপর্ব অপরাজিতা অপুতে। রুদ্ধশ্বাস এই পর্ব যাতে কোনো দর্শক দেখতে মিস না করেন তার জন্য আগে থেকেই প্রোমো দেখাতে শুরু করেছে জি বাংলা। দর্শকরা অপেক্ষা করে আছেন অপুর সিদ্ধান্তের দিকে