×
অফবিট

সামান্য ডোর টু ডোর সেলসম্যান থেকে ২১১৪ কোটি টাকার বিদেশী কোম্পানী, সিড আহমেদের জীবনী অনুপ্রেরণা জাগাবে

Advertisements
Advertisements

সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা হাতরালেই অনেক অজানা কাহিনীর নিদর্শন পাওয়া যায়। কিভাবে জীবনের চরম চড়াই-উৎরাই-এর পথ পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করা যায়, সেগুলি এই সোশ্যাল মিডিয়াই অনেক সময় শিখিয়ে দেয়। সম্প্রতি নেটদুনিয়ার পাতায় এরকমই এক হতদরিদ্র সেলসম্যানের, নিজস্ব আইটি কোম্পানি গড়ে তোলার গল্প অবাক করল সাইবারবাসীদের। কিভাবে নিজের প্রতি বিশ্বাসী এবং কঠোর পরিশ্রমী হলেই সাফল্য পাওয়া যায়, তা প্রমাণ করে দিল তামিলনাড়ুর ওই লড়াকু ছেলে।

Advertisements

তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর শহরের সিড আহমেদ (sidd Ahmed), যে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করতে ৭ বছর লাগিয়ে দিয়েছিল কারণ হলো তার অর্থাভাব! ছয় ভাইবোন এবং বাবা-মা নিয়ে ছিল তাদের আট জনের সংসার। এই আটজনের পরিবার চালাতে সিডের হতদরিদ্র বাবাকে করতে হতো নানান কাজ। কখনো চাষীর কাজ করতেন কখনো বা গাড়ি চালকের। আবার কখনো নিজের হাতে ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করতেন। তার মা একটি ছোট স্কুলে কাজ করতেন কিন্তু ৬ সন্তানকে দেখাশোনার জন্য সেই কাজটিও ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাকে। প্রথমে সিড ভেবেছিল সে ডাক্তার হবে, তবে ভালো নাম্বার না পাওয়ার জন্য জুলজি নিয়ে একটি কলেজে সে ভর্তি হয়েছিল।

পরবর্তীকালে তার বড় দাদা তাকে জোর দিয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি করার জন্য। তবে তিরুচিরাপল্লীর কোথাও, কোন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সে পড়ার সুযোগ পায়নি। এরপর তার দাদা তাকে বেঙ্গালুরুর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে পাঠায়। তবে চার বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি তার শেষ করতে সময় লেগেছিল ৭ বছর। তার একমাত্র কারণ ছিল তার অর্থাভাব;নিজের পরিবারকে দেখার জন্য, টাকার ঘাটতি পূরণ করার জন্য দিনের বেলা সে কাজ করতো এবং রাতে পড়াশোনা করতো।

একসময় তাকে ১২০০ টাকার বিনিময়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেলসম্যানের কাজ পর্যন্ত করতে হয়েছিল। বর্তমানে সে ইউনাইটেড স্টেটের ২৬০ মিলিয়নের একটি আইটি কোম্পানির মালিক। ২০১৭ সালে সিট আহমেদ ভিডার্ট (vdart) নামের একটি আইটি কোম্পানি খোলে, যেখানে প্রায় ৩৭০০ লোক বর্তমানে কাজ করে এবং গোটা বিশ্ব জুড়ে ১০ টিরও বেশি দেশে এই কোম্পানি কাজ করছে। এমনকি সিড জানিয়েছে, “তার এই বিডার্ট কোম্পানির সাফল্যের গল্প তিরুচিরাপল্লীর আইআইএম (IIM) কেস স্টাডিতে পড়ানো হয়।

Advertisements