শত চেষ্টার পরেও মেলেনি সরকারি চাকরি, শেষ পর্যন্ত গাঁদা ফুলের ব্যবসা করে লাখপতি যুবক

“কোন কাজই ছোট নয়”- এই কথাটা হয়তো সত্যি কিন্তু আমাদের প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে বড় কিছু হওয়ার। ছোট কাজ করার আগেই সকলেই চিন্তা-ভাবনা করে জীবনে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে। তবে সেটা যে কোন কাজের দ্বারাই সম্ভব। অনেক চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থতা এসে দরজায় কড়া নাড়ে, তখনও স্বপ্ন দেখা যায় সফলতা পাওয়ার! সেটিই প্রমাণ করলেও ভোজপুরের বেনুয়ার টোলা অঞ্চলের মাত্র ২৪ বছরের যুবক দীপক কুমার (Deepak kumar)।
ছোট থেকেই দীপকের স্বপ্ন ছিল সে ডিফেন্সে চাকরি করবে। বাড়ির সকলে চাষাবাদের সাথে যুক্ত থাকলেও, সবসময়ই সরকারি চাকরি করতে চেয়েছিলো সে। তাই প্রাথমিক পড়াশোনার গণ্ডি পেরতেই দীপক ডিফেন্সের পড়াশোনার জন্য লেগে পড়ে। তবে ব্যর্থতাই ছিল তার ভাগ্য! বহু চেষ্টার পরেও ডিফেন্সে চান্স পায়না সে। এর পরেই দেরি না করে সে মনস্থির করে বাড়ির অন্যান্যদের মতনই চাষাবাদ করবে। তবে অন্যদের মতো ধান, গম এইসব না ফুলের চাষ করতে শুরু করে দীপক।
ঘোর করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে, মাত্র তিন রকমের তিন প্রজাতির গাঁদা চারা নিয়ে চাষ করা শুরু করেছিল ওই যুবক। তবে করোনার সময় দেশের অর্থনীতি এতটাই খারাপ ছিল যে, প্রায় আড়াই বিঘা জমির ফুল তার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে এতেও ভেঙে পড়েনি দীপক; আবারো নতুন করে চারা রোপন করেছিল। এবার ধীরে ধীরে সে বিক্রমপুর, বক্সার, ভবুয়া প্রভৃতি অঞ্চলে ফুল সরবরাহ করতে থাকে। যেহেতু গাঁদা ফুল যেকোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে লাগে, তাই অর্ডারও পাওয়া যায় খুব বেশি।
বর্তমানে লাভের মুখ দেখেছে দীপক। আগে থেকেই তার ফুলের অর্ডার চলে আসে। প্রতিদিন প্রায় ঘরে ১৫০০ টাকার ফুল বিক্রি করে সে। এমনকি অনুষ্ঠানের অর্ডার থাকলে সেই অংকটা ছাড়িয়ে যায় ৫ হাজার পর্যন্ত। ডিফেন্স ছাড়াও বাড়ির পথ ধরেই সাফল্য নিয়ে এসেছে দীপক।